বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী ও ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ প্রতিযোগিতা

B-Bandhu-1জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ প্রতিযোগিতা। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় রবিবার (২৫ আগস্ট) এর উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়েছে।

এ সময় সংস্কৃতি সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ বিরোধী যে ষড়যন্ত্র চলছে তাকে রুখে দিতে হলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস চর্চার কোনও বিকল্প নেই। স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকেই এই কাজটি শুরু করতে হবে।’

তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের সমার্থক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধকে, বাংলাদেশের অস্তিত্বকে মেনে নিতে পারেনি, সেই পাকিস্তানের দোসররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যা করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে বিলীন করে দেওয়ার জন্য।’

সচিব শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ২১ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। দেশের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য বঙ্গবন্ধুকে বেশি বেশি পাঠ করা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর বলেন, ‘এযাবৎ প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ জন শিক্ষার্থী এই পাঠ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। প্রতিযোগীরা বঙ্গবন্ধুর “অসমাপ্ত আত্মজীবনী” পাঠের পর প্রতিক্রিয়া তুলে ধরবে তাদের শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠী, অতিথি ও বিচারকমণ্ডলীর সামনে। স্কুলগুলো হচ্ছে– রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।’

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক আরও বলেন, ‘বইপ্রেমীদের জন্য পাঁচ দিনই উন্মুক্ত থাকবে এই প্রদর্শনী ও পাঠ কার্যক্রম। দরকারি বইটি কিনতেও পারবেন তারা।’ সূত্র: বিএসএস