পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ: সংসদে বন উপমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)

ইউক্যালিপটাসসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সংসদে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের অনুপস্থিতিতে উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার সংসদ সদস্যদের প্রশ্নের জবাব দেন।

উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার বলেন, ‘নানা আকর্ষণ থেকেই মানুষ অনেক আগেই আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাসের মতো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গাছগুলো লাগিয়েছে। তবে মানুষ এখন সচেতন। বিগত কয়েক বছরে মনে হয় না কেউ এসব গাছ লাগিয়েছেন। যে গাছগুলো আছে তা কেটে ফেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সংসদে নতুন করে অবহিত হওয়ার পর পরিবেশবান্ধব নয়-এমন গাছগুলো যাতে তাড়াতাড়ি অপসারিত হয় সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী জানান, বর্তমানে সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ৬৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৬৫ দশমিক ৬৭ একর। এটি মোট আয়তনের প্রায় ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর দেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের ২২ দশমিক ৩৭ শতাংশ।

সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘২০১৬ সালে জয়বায়ুর ঝুঁকিপূর্ণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ছয় নম্বরে। ২০১৯ সালে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে। সরকার প্রতিনিয়ত উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশের জয়বায়ু সহিষ্ণুতা কিছুটা বেড়েছে।’

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শাহাব উদ্দিন বলেন, সারা দেশে বনভূমির পরিমাণ ৬৩ রাখ ৬৮ হাজার ৭৬৫ একর।

মকবুল হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশনগুলোর আবর্জনার ট্রাক রাতে চলাচল করার কথা। কিন্তু কিছু কিছু করপোরেশন গাফিলতি করে দিনে পরিবহন করে। করপোরেশনগুলোর কাছে আমাদের অনুরোধ, ময়লা রাতে অপসারণ করেন।’

জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান প্রশ্ন করেন, জলবায়ু ফান্ডের টাকায় কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করছেন, এটা সত্য কি না?

জবাবে হাবিবুন্নাহার বলেন, ‘যে ফান্ডের টাকায় বিদেশ সফরের কথা বলা হচ্ছে সেখানে টাকার পরিমাণ বেশি নেই। আমি অল্প কিছুদিনে দেখেছি, কেউ বিদেশ যাননি। বিদেশে যারা যাচ্ছেন, তারা বিদেশের ফান্ডে যাচ্ছেন।’