ক্যাসিনোর কোনও পারমিশন দেওয়া হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

 

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালক্যাসিনো চালাতে চাইলে পারমিশন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্যাসিনোর কোনও পারমিশন দেইনি। যারা ক্যাসিনো ব্যবসা করছেন, তারা অবৈধভাবে করছেন।’ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মিডিয়া ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস আয়োজিত ‘নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাসিনো করতে চাইলে আমাদের জানাবেন, কোথায় করবেন। পারমিশন দেওয়ার মতো যদি আমাদের অবস্থা হয়, দেব। না জানিয়ে, লুকোচুরি করে আপনারা কেন করবেন অবৈধ ব্যবসা?  সেটা হতে দিতে পারি না। আমরা কিন্তু বারের লাইসেন্স দিচ্ছি। লাইসেন্স দিচ্ছি বড় বড় হোটেলগুলোতে, বড় বড় ক্লাবগুলোতে। যেমন ঢাকা ক্লাব।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাসিনো যদি চালাতে হয় তারও একটা নীতিমালা হবে, সিদ্ধান্ত হবে। তারপর আমরা তাদের দেব। আমরা সেরকমই চিন্তা করি। কিন্তু আপনারা যদি না জানিয়ে এই অবৈধ ব্যবসায় ঢুকে যান, আমরা তো অবৈধভাবে কাউকে কোনও ব্যবসা করতে দেবো না। এটাই হলো সিদ্ধান্ত।’

আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই শুনতেছিলাম ঢাকা শহরের লুকিয়ে লুকিয়ে অনেকেই এই ব্যবসায় জড়িত হয়ে যাচ্ছে। আমি যখন প্রথমে ২/৩ টার কথা শুনেছিলাম, তখনই সে গুলোকে ডেস্ট্রয় করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর এক-দেড় বছরের মধ্যে আবার কয়েকটি মাথাচাড়া দিয়ে এলো। আমাদের গোয়েন্দারা এসে রিপোর্ট করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, কেউ কোনও অবৈধ ব্যবসা করতে পারবে না। তারই ফলে কালকের অভিযান।’

এক প্রতিক্রিয়ায় যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘পুলিশ প্রশাসন এতদিন কেন অভিযান চালায়নি। তারা সব কিছু জানতো, আমাদের প্রশ্রয় দিয়েছে। এজন্য যদি আজকে আমাদের গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাদেরও গ্রেফতার করতে হবে।’ প্রসঙ্গটি সাংবাদিকরা তুলে ধরলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যেটা বলেছেন, সেটা তার নিজস্ব কথা বলেছেন। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট। যিনি আইন মানবেন না, অন্যায় করবেন, আমরা তাকেই আইনের মুখোমুখি করবো। এটাই হলো আমাদের সিদ্ধান্ত।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক,  প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাহনাজ মুন্নী প্রমুখ।