রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: পররাষ্ট্র সচিব





পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকপররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরকার মানবিক আচরণ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ‘এসডিজি এবং বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাতিসংঘ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।
শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সবসময় মানবিক আচরণ করবো। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের পৃথিবীতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ক্ষেত্রে জার্মানি ছাড়া পৃথিবীতে আমরা ব্যতিক্রম।’
উল্লেখ্য, জার্মানি ১০ লাখেরও বেশি সিরীয় উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিয়েছে।
‘আমরা অসুবিধার মধ্যে থাকতে পারি, কিন্তু মানবতা দেখানোর ক্ষেত্রে আমরা কখনও পিছপা হই না’, বলেন তিনি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক বিষয় এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে।
এসডিজি বাস্তবায়নে এবং তহবিল সংগ্রহে রাজনৈতিক বিবেচনা এখন অনেক বেশি বলে তিনি জানান।
শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা সমতার জন্য প্রবৃদ্ধি চাই এবং এমন প্রবৃদ্ধি যেন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।’
প্রধান এসডিজি সমন্বয়ক মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, এটি বাস্তবায়নে যে পরিমাণ সম্পদ দরকার এবং যে পরিমাণ আছে তার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, ‘সম্পদের এই পার্থক্য কমানোর জন্য আমরা দক্ষতা বৃদ্ধিকরণকে চিহ্নিত করেছি।’
একদিকে যেমন দক্ষ তরুণরা বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে চাকরি পাবেন এবং অন্যদিকে বিদেশে চাকরি নিয়ে গিয়ে দেশে অর্থ পাঠাবেন বলে তিনি জানান।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসজিডি বাস্তবায়নে সামাজিক আত্মীকরণ অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভোগ অসমতা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে কিন্তু সম্পদের অসমতা অনেক বেশি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মোহাম্মাদ খোরশেদ আলম বলেন, যখন অভিবাসন নিয়ে কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তখন সবাই বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ যারা শ্রমিক পাঠায় তাদের দোষারোপ করে।
তিনি বলেন, কিন্তু এমন কোনও রিপোর্ট নেই যেখানে বলা হয়েছে— ওই নারী কর্মীকে কেন নির্যাতন করা হলো বা ওই কর্মী কেন শূন্য হাতে ফেরত আসলেন।