পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা শিথিল করা যায় কিনা এবং সেটা কীভাবে ও কতটুকু করা সম্ভব, তা নিয়ে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
রবীশ কুমার এটাও জানাতে ভোলেননি, ‘বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির জন্য রবিবারের আগে যেসব এলসি খোলা হয়েছিল সেগুলোও কিন্তু আমরা এখন অনার করছি। সেই পেঁয়াজ বাংলাদেশে যেতেও শুরু করেছে।’
শনিবার দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের মুখোমুখি বৈঠকের পর পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সুখবর আসতে চলেছে, এরকমও ইঙ্গিত পেয়েছে বাংলা ট্রিবিউন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার সংবর্ধনার সময় উপস্থিত ভারতীয় অতিথিদের উদ্দেশে কথা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘জানি না কেন আপনারা পেঁয়াজ পাঠানো হঠাৎ বন্ধ করে দিলেন। আমাদের জন্য তো পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।’ তিনি হাসতে হাসতেই মন্তব্য করেছিলেন, ‘এমনকি আমি নিজেই তো পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি। আমার রাঁধুনিকে বলেছি, সব রান্না পেঁয়াজ ছাড়াই করতে।’
তার কথায় হেসে গড়িয়ে পড়েন ওই সময় সভাস্থল ‘মৈত্রী হলে’ উপস্থিত বহু নেতা-মন্ত্রী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা।
তবে শেখ হাসিনার রসিকতা-মেশানো ওই অনুযোগেই যা কাজ হওয়ার হয়েছে।
তখন হলঘরে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিভাগের প্রধান বিক্রম দোরাইস্বামী এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস (যিনি শেখ হাসিনার সফর উপলক্ষে এখন দিল্লিতে)।
তারা দুজনেই শেখ হাসিনার এই বক্তব্য প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে দেন সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে। এরপরই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পেঁয়াজ নিয়ে বাংলাদেশের কনসার্ন অ্যাড্রেস করতে ভারতকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু একটা করতেই হবে।
সেটা ঠিক কী, তা সম্ভবত জানা যাবে শনিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই।