বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) মো. আবুল কালাম আজাদ, সচিব সাজ্জাদুল হাসান প্রমুখ।
এর আগে ভারতের স্থানীয় সময় রবিবার রাত ৮টায় দেশটির পালাম এয়ারফোর্স স্টেশন ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান ভারতের নারী ও শিশু উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শনিবার নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে ৭টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা একই দিনে রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সন্ধ্যায় তিনি আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে নয়াদিল্লিতে ‘ঠাকুর শান্তি পুরস্কার ২০১৮’ গ্রহণ করেন। এশিয়াটিক সোসাইটি কলকাতা তাজমহল হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে এ পুরস্কার দেয়। এর আগে শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সফরকালীন আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। একই দিনে শেখ হাসিনা একটি সরকারি মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন এবং হায়দরাবাদ হাউজের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
চার দিন সফরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনা হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে বাংলাদেশ বিষয়ক কান্ট্রি স্ট্রাটেজি ডায়ালগে যোগ দেন।
ওইদিন শেখ হাসিনা বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে তার সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং বাংলাদেশ হাউজে এক নৈশভোজে যোগ দেন। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এ নৈশভোজের আয়োজন করে।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ভারতের শীর্ষস্থানীয় সিইওদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। এছাড়া তিনি ভারত-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (আইবিবিএফ)-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সমাপনী অধিবেশনেও যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সোয়ি কিট। এর আগে ৩ অক্টোবর সকালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতে চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সূত্র: বাসস