১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ ডিটিএইচ সংযোগ সরিয়ে ফেলতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী (ছবি: পিআইডি)তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সব অবৈধ ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) সংযোগ সরিয়ে ফেলতে হবে। নিজ উদ্যোকে না সরালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বুধবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কয়েক লাখ বিদেশি ডিটিএইচ সিস্টেম বিভিন্ন জায়গায় সংযুক্ত করা হয়েছে। শুধু শহরে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে-গ্রামেও সংযুক্ত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এটা বিদেশ থেকে কেনা হয়, এগুলো কিনতে বাংলাদেশের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে যায়। এগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে এক বছরের টাকা নিয়ে নেওয়া হয়। বিদেশি কোম্পানি হওয়ায় গ্রাহকদের কাছ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হয়। এভাবে দেশের সাতশ থেকে আটশ কোটি টাকার বেশি অর্থ বিদেশে পাচার হয়। এটি চলতে দেওয়া যাবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘উভয় পক্ষকেই ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন অনুযায়ী এই অপরাধের শাস্তি অনধিক ২ বছর কারাদণ্ড, সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা বা কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। আর একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা কমপক্ষে ১ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বিশ্বমানের মডেল থাকার পরও বিদেশি দ্বিতীয় শ্রেণির মডেল দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হচ্ছে। যা সমীচীন নয়। এ বিষয়ে শিগগির নিষেধাজ্ঞা আসছে।’

তথ্যমন্ত্রী জানান, ‘অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে গেলে সেন্সর বোর্ডের অনুমতি নিতে হবে। বিদেশি অনেক নাটক ত্রিশ বছর ধরে প্রদর্শিত হয়। যা ভিন্ন ভাষায় ডাবিংয়ের পর সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন সমীচীন নয়। বর্তমানে অনেক চ্যানেল অনুমতি ছাড়াই প্রদর্শন করছে। কিন্তু, ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন করতে দেওয়া হবে না।’