হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে এয়ারলাইনসকে বেবিচকের অনুরোধ

‘কোলাবরেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব পাবলিক হেলথ ইভেন্টস ইন সিভিল এভিয়েশন-এশিয়া প্যাসিফিকের একাদশ সভা

ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও)-এর হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে দেশের এয়ারলাইনসগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীতে ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) ‘কোলাবরেশন অ্যারেঞ্জমেন্ট ফর দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব পাবলিক হেলথ ইভেন্টস ইন সিভিল এভিয়েশন-এশিয়া প্যাসিফিক (সিএপিএসসিএ-এপি)’-এর ১১তম সভায় তিনি এ অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, দ্রুতগতিতে এভিয়েশন খাত এগিয়ে যাচ্ছে। এ খাত একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের যাতায়াতের জন্য আকাশপথ বেশি ব্যবহার হচ্ছে। একারণে সংক্রামক ব্যাধি ঝুঁকিও রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতর দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে। যখন ইবোলাসহ অন্যান্য সংক্রামক অসুখ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছিল, তখন ঢাকায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।’ আইকাও’র হেলথ কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে দেশের এয়ারলাইনসগুলোকে অনুরোধ জানান তিনি।

চার দিনব্যাপী এ সভায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিভিল এভিয়েশন সংস্থার প্রধান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এয়ারলাইনস এবং এভিয়েশন খাতের সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। সভায় এভিয়েশন খাতের স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে।

২১ অক্টোবর সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশের টিম লিডার (ডব্লিউএইচও) ডা. হাম্মাম ইএল সাক্কা, আইকাও’র রিজওন্যাল অফিসার পরাক্রম দিশনায়েক।

সভার প্রথম দিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতেই অনুষ্ঠিত হয় এভিয়েশন মেডিক্যাল এক্সামিনারদের জন্য টেকনিক্যাল সেশন। এরপর অ্যারো মেডিক্যাল এক্সামিনার আপডেট সেশন ও ডিসকাশন, সেখানে বক্তব্য রাখেন আইকারও’র এভিয়েশন মিডিক্যাল সেকশনের প্রধান ডা. আনসা জর্দান। এছাড়া, সভার প্রথম দিনে অ্যালকোহল ও মাদক, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও আলোচনা হয়।

এদিকে, সভার দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পাবলিক হেলথ সিকিউরিটি, ইন ফ্লাইট হেলথ, নিপাহ রেসপন্স, জয়েন্ট এক্সামিনেশন ইভালুয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেজ্যুলেশন বিষয়ে আলোচনা হবে। এতে অংশ নেবেন—বাংলাদেশের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ডা. নাসির খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এভিয়েশন পাবলিক হেলথ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া, ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ কো অর্ডিনেটর তাশি দর্জি, চীনের সিভিল এভিয়েশন মেডিকেল সেন্টারের পাবলিক হেলথ রিসার্চ ডিভিশনের উপ-পরিচালক ডা. বিং, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইনসের গ্রুপ মেডিক্যাল অফিসার ডা. অনোম জয়সিংহ, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) বাংলাদেশের প্রধান মাইগ্রেশন হেলথ অফিসার ডা. আলিশ প্রজাপতি প্রমুখ।

তৃতীয় দিন বুধবার (২৩ অক্টোবর) রিজিওনাল আপডেট অন হেলথ, অ্যারো মেডিক্যাল এক্সামিনেশন আপডেট, সাইকোলজিক্যাল অ্যাসিসমেন্ট অন সাইসেন্সসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সভার শেষ দিনে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন সভায় অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়া, বিমানবন্দরে পাবলিক হেলথ বিষয়ক মহড়াও অনুষ্ঠিত হবে।