রোহিঙ্গারা চাইলে ভাষানচরে স্থানান্তর, ইইউকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সদস্যরারোহিঙ্গাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের ভাষানচরে স্থানান্তর করা হবে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ও ইইউ’র মধ্যে যৌথ কমিশনের বৈঠকে ভাষানচরের বিষয়টি আলোচিত হয়। এতে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিস্কার করে।

তবে গত মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, রোহিঙ্গাদের জোর করে ভাষানচরে পাঠানো হবে এবং গত সপ্তাহে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেছেন নভেম্বরে কিছু রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে ইইউ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য ধনী দেশগুলো আপত্তি জানায়।

সোমবার যৌথ কমিশনের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সমর্থন চাইলে ইইউ তাদের রাজনৈতিক ও মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে তার দায়বদ্ধতার বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মাদ আশাদুল ইসলাম এবং ইইউ’র বহির্বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পামপালোনি।