সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্টের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান জোটের সুপারিশে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘তামাকের ক্ষেত্রে ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) আর্টিকেল ৫ দশমিক ৩ অনুসারে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন ও কোড অব কন্ডাক্ট তৈরি করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। তামাক কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, ‘তামাক কোম্পানির বোর্ডে থেকে সরকারি কর্মকর্তারা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোর (বিএটি) বোর্ড মেম্বার হিসেবে কী দায়িত্ব পালন করছেন, সে সংক্রান্ত তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বজন ও নিকটাত্মীয় বিএটিতে কর্মরত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তামাক নিয়ন্ত্রণ নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে সে ঘোষণাও দিতে হবে। রাজস্ব বোর্ড, কৃষি, অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে তামাক থেকে নির্ভরতা কমানোর রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।’
এ সময় বিড়ির সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমালোচনা করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের উপদেষ্টা ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, মাদকবিরোধী সংগঠন প্রত্যাশার সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র প্রমুখ।