প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়।
গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি ফান্ড গঠনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যতদিন আছি দিচ্ছি। কিন্তু আমি তো সবসময় থাকবো না। তাই মালিক বা সাংবাদিকদের নিজেদের গরজ থেকেও যদি কিছু দেওয়া হয়। ভবিষ্যৎ চিন্তা করেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, একটা ফান্ড করা উচিত।’
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মালিকরা চালু করতে চায় না, আমরা কী করবো। আর কোনও কোনও মালিক তো পেছনে লেগেই থাকে সারাক্ষণ।’
সাংবাদিকদের উৎসাহ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক মানুষ পত্রিকা পড়ে। এ নিয়ে আলোচনা করে, কথা বলে।’ প্রধানমন্ত্রী হেসে বলেন, ‘মানুষের সচ্ছলতা বেড়ে গেছে বলে চা খাওয়াও বেড়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করবো, স্বাধীনতার ইতিহাস মুছে ফেলা হয়েছে। ’৭৫ এর পর ইতিহাস মুছে ফেলা হয়। ’৭১ এ মা-বোনদের ওপর যেসব নির্যাতন হয়েছে, যারা এসব নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের কথা হারিয়ে যাচ্ছে। ওই সময় অনেক বাবা-মা নির্যাতনের শিকার মেয়েদের নিতে চাননি। মেয়েরা ঠিকানাবিহীন হয়ে যায়। অনেকে তাদের আশ্রয় দিয়েছে, তবে অনেক সমাজে তাদের জায়গাও হয় নাই। বহু নির্যাতনের কাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরকম নির্যাতন ও গণহত্যার খবর নিন। যুদ্ধাপরাধের অনেক ইতিহাস রয়ে গেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এগুলো জানা প্রয়োজন। তথ্যগুলো সংগ্রহ করে প্রকাশ করা উচিত, সংরক্ষণ করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘এখন নারীদের স্বাধীনতা আছে বলে তারা অত্যাচার-নির্যাতনের বিষয়গুলো মুখ ফুটে বলতে পারে। যারা অপরাধী তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করুন। এটার দিকে ফোকাস করতে হবে।’
অনেক নির্যাতনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে আসার কারণে ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নুসরাতের ঘটনাটা পত্রিকাগুলোতে না আসলে এটা ধামাচাপা দিয়ে দিতো। আমার কাছে অপরাধী অপরাধীই। তার বিচার হবেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের লেখার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারি। এটা চালিয়ে যাবেন।’
আরও পড়ুন...
ভিসি’র দুর্নীতির প্রমাণ দিতে না পারলে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা