সতর্ক অবস্থানে দেশের সব বিমানবন্দর

কক্সবাজার বিমানবন্দর (ছবি সংগৃহীত)ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারণে দেশের বিমান বন্দরগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে এ পর্যন্ত বিমান বন্দরগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রাখা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর মো. খালিদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিমানবন্দরে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর আছে। আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। গতকাল থেকেই দেশের সব বিমানবন্দরের পরিচালক, ম্যানেজারদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত বিমানবন্দর বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত হয়নি। আবহাওয়া পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মো. খালিদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরের ঝুঁকি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে রানওয়ে ও খোলা জায়গায় থাকা যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুলবুল আরও শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) যেখানে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৬২ কিলোমিটার, এখন তা বেড়ে ১১০-১২৫ কিলোমিটার হয়েছে। এই গতি অব্যাহত থাকলে শনিবার (৯ নভেম্বর) খুলনা উপকূল দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এখন যে গতি তাতে ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গতিবেগ আগের চেয়ে বেশি। ঝড়টি এখন যে গতিতে আসছে, তাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। খুলনা অঞ্চল দিয়ে ঘূণিঝড় প্রবেশের আশঙ্কা করেন তিনি। এছাড়া, ঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলোতে শুক্রবারের মতো শনিবারও ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।’

সর্বশেষ তথ্যের ভিত্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে সুন্দরবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।