যা আছে সংশোধিত পিপিপি আইনের খসড়ায়

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক (ছবি: ফোকাস বাংলা)বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এতে অনুমোদন দেওয়া হয়।

সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনে মন্ত্রিসভার কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সচিব জানান, ‘পিপিপি আইন, ২০১৫ এর ৮(২) ধারায় বলা ছিল বছরে পিপিপি পরিচালনা পর্ষদের ছয়টি বৈঠক হতে হবে। তবে সংশোধিত আইন অনুযায়ী এখন থেকে বছরে একটি বৈঠক করলেই হবে। কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের ব্যস্ততার কারণে ছয়টি বৈঠক হয়ে ওঠে না, তাই একটিই করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, সংশোধিত আইন অনুযায়ী পিপিপি পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বোর্ড গঠন করতে হবে। এই নির্বাহী বোর্ডের গঠন, দায়িত্ব ও সভা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত বিষয়গুলোও সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সচিব জানান, পিপিপি আইন, ২০১৫-এর আওতায় কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিধান আছে। এই আইনের ১১ ধারায় বলা আছে, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সরাসরি নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হবে। তবে সংশোধিত আইনে এটায় পরিবর্তন এসেছে। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত সব কর্মীর জন্য বিধানাবলি নির্ধারণ করবে এবং তাই সবার জন্য প্রযোজ্য হবে। সংশোধনীর ৬ ধারায় এটা বলা হয়েছে।