ডাটা-নীতি তৈরি করছে সরকার

75424594_2354362801339116_4015982317989265408_nতথ্যের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ডাটা-নীতি তৈরি করছে সরকার। ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগের প্রথম দিন সোমবার (১১ নভেম্বর) তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে আয়োজিত সেশনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান।
ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ আগামী বুধবার (১৩ নভেম্বর) শেষ হবে।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সরকার বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে যেসব তথ্য অন্যকে আহত করে— এমন তথ্য জানানোর ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমরা ডেটা পলিসি করছি। এর মাধ্যমে কোন ডেটা উন্মুক্ত এবং কোন ডেটা অন্যকে জানানো যাবে না, সেটি নির্ধারণ করা হবে। এর ফলে ডেটা প্রসেস করা সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে নতুন বিসনেস মডেল তৈরি করা যাবে।’ এভাবে সরকার প্রযুক্তিতে নতুন উচ্চতায় নিতে চাইছে বলে দাবি করেন তিনি।
ফেসবুকের সঙ্গে সহযোগিতা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ছয় বছর ধরে তাদের সঙ্গে কাজ করছি।


জুনাইদ আহমেদ বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন ফোকাস নিয়ে ফেসবুকের বিনিয়োগ করা উচিত।
আলোচনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ কোনও তথ্য চাইলে সেটি ভিন্নভাবে বিবেচনা করা হয়।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের কাছে তথ্য চাইলে তারা কোর্টের আদেশ আছে কিনা, জানতে চায়। কিন্তু অপরাধ ঠেকানোর সময়ে কোর্টের কাগজপত্র আমাদের কাছে থাকে না। কারণ, এটি গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চাওয়া হয়।
এর জবাবে ফেসবুকের কর্মকর্তা আঁখি দাস বলেন, কোনও তথ্য দেওয়ার আগে আমাদের যাচাই-বাছাই করতে হয়। যেমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের কোন ধারা বলে এই তথ্য চাইছে বা ওই বাহিনীর এই তথ্য চাওয়ার অধিকার আছে কিনা। এগুলো জানার পরেই আমরা তথ্য সরবরাহ করে থাকি।
ভোলার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোলা ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশ থেকে জানার পরপরই গঠনমূলক উদ্যোগ নিই এবং একটি সমাধান বের করি। কিন্তু এ বিষয়টি টেকসই করতে গেলে আমাদের উভয়কে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
তিনি প্রস্তাব করেন, এটি খুব ভালো হবে যদি একটি ফোরাম থাকে, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফেসবুকের প্রতিনিধি উভয়েই প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।
আঁখি দাস বলেন, ‘আমাদের টিমের সঙ্গে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সবসময়ে সংলাপ হচ্ছে।’ ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অধীনে স্থানীয় টিমের সঙ্গে ফেসবুক কাজ করবে বলে জানান তিনি।