তদন্তে কমিটির মধ্যে, বাংলাদেশ রেলওয়ের দুটি , রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি, সরকারি রেলপরির্দর্শক একটি ও জেলা প্রশাসনের একটি।
এর আগে রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। উদ্ধার কাজ চলছে।
ট্রেনের সিগন্যাল অমান্য করার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা যাচ্ছে না।
স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে দাঁড়ানো শুরু করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বগিগুলো সরানোর জন্য রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলের কাছে বায়েক শিক্ষা সদন উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে ৯টি লাশ রয়েছে। আর কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি লাশ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নারী ও পুরুষের দু’টি লাশ রয়েছে। আর কুমিল্লা জেলা সদর হাসপাতালে একজন পুরুষের লাশ রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র্যাব, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় অধিবাসীরা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: