কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ন বলেছেন, কৃষি আধুনিকায়নে ২৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার (৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয় হোটেলে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও প্রাণ-প্রকৃতি সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে ‘কৃষকের ন্যায্যতা’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ বলেন, স্বাধীনতা উত্তর কৃষি ক্ষেত্রে আমরা যতটুকু এগিয়েছি, পরিকল্পিত ও সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে এর সাফল্যের পরিধি আরও বাড়তো। আমাদের কৃষির আধুনিকায়ন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, মাটির ঊর্বরতা অনুযায়ী কোন অঞ্চলে বা কোন মাটিতে কী ধরনের ফসল উৎপাদন ভালো হয়, তা যাচাই করে ফসল উৎপাদনের দিকে এগোতে হবে।
মাটির উর্বরতা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে উল্লেখ করে কৃষি সচিব বলেন, আমাদের কৃষি কমিশন না থাকা নিয়ে বিভিন্ন কথা হয়। এ সেক্টরে কোনও নতুনত্ব আসেনি বা দীর্ঘমেয়াদি কোনও পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। তবে আমরা সবকিছু যাচাই করে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে চাই। কৃষির স্বাস্থ্যের কথা বললে মাটির উর্বরতার কথা বলতে হয়। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, কৃষির আধুনিকায়নে আমাদের ডেল্টাপ্ল্যানে ছয়টি হটস্পট রয়েছে। সে অনুযায়ী কীভাবে এ সেক্টরকে ঢেলে সাজানো যায়, সে কাজ চলছে। এতে ৯টি থিমেটিক এলাকায় ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এর অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। প্যানেল আলোচক ছিলেন– বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম, টিকে গ্রুপের গ্রুপ ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফা হায়দার, এসিআই এগ্রিবিজনেস ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট ড. এফ এইচ আনসারী ও ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রান্তিক কৃষক, খামারি ও কৃষিও মৎস্য সংগঠকরা অংশ নেন। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষি ক্ষেত্রে সমস্যা ও সমম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তারা।