এর আগে ৫ নভেম্বর অনলাইনে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ কার্যক্রম শুরু হলো। পরবর্তীতে সৌদি আরব, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকরা এ সুযোগ পাবেন।
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির একটি টিম দুবাইয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান করে এ কার্যক্রম চালাবে। পাশাপাশি অনলাইনেও আবেদন নেওয়া হবে। এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, প্রবাসীরা আবেদন করার পর সেটা তার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। সেখান থেকে তদন্ত প্রতিবেদন এলে, যোগ্য ব্যক্তির দশ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নেওয়ার জন্য দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক বসানো হবে। এরপর সেটা ইসি সার্ভারে নিয়ে স্মার্টকার্ড ছাপিয়ে হেল্প ডেস্কের মাধ্যমেই আবার বিতরণ করা হবে। এনআইডি কর্মকর্তারা বলেন, মোট ছয়টি ডকুমেন্ট দিতে হবে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার জন্য। এগুলো হলো—পাসপোর্টের ফটোকপি, বিদেশি পাসপোর্টধারী হলে দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদের ফটোকপি বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শনাক্তকারী একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকের পাসপোর্টের কপি, বাংলাদেশে বসবাসকারী রক্তের সম্পর্কের কোনও আত্মীয়ের নাম, মোবাইল নম্বর ও এনআইডি নম্বরসহ অঙ্গীকারনামা, বাংলাদেশে কোথাও ভোটার হয়নি মর্মে লিখিত অঙ্গীকারনামা ও সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের প্রত্যয়নপত্র।