‘পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার হলে রোহিঙ্গা হত্যা হতো না’

‘১৯৭১ সালের গণহত্যা, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা ।বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের স্বার্থে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল শিক্ষক অধ্যাপক  মুনতাসীর মামুন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যারও বিচার করতে হবে। স্বাধীনতার পর পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার হলে রোহিঙ্গা নির্যাতন হতো না। রোহিঙ্গা হত্যাও হতো না।’ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে  বাংলা একাডেমিতে  আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের গণহত্যা, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনের আয়োজন করে  ‘১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট।’

মুনতাসীর মামুন বলেন, ‘আমরা তাদের কথা যেন মনে রাখি, এ রাষ্ট্র গড়ে ওঠার পথে কত মানুষের কান্না, কত মানুষের জীবন দিতে হয়েছে। বহু পথ পেরিয়ে আমরা ঘাতকদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছি। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। এটি এখনও চলছে। তবে একটি দুঃখ আছে, আমরা এখনও পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার শুরু করতে পারিনি।’

এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘জিয়া-খালেদা-নিজামীর অপপ্রচারের জন্য সেই সব স্মৃতি বিনষ্ট হয়ে গেছে। শত সংকট ও লাঞ্ছনার পরও মানবতাবিরোধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন হচ্ছে। কিন্তু দুঃখ হচ্ছে, পাকিস্তানিদের এখনও বিচার করা যায়নি। রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধান করতে হবে। না হয় বাংলাদেশ ও  আশেপাশের দেশগুলো আক্রান্ত হবে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের মাধ্যমে। একাত্তরের ঘাতক-খুনি পাকিস্তানিদের বিচার করতে আমরা পারবো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছেন বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি।’

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্পী হাশেম খান প্রমুখ।

দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৭টি দেশের প্রতিনিধি আলোচনা ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। ভারত, ইতালি, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, যুক্তরাজ্য থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ গবেষক এতে যোগ দিয়েছেন।  

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন এবং সম্মেলনের সহ-আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনী ৬ষ্ঠ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।