রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: দুই অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ




নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি শুরু হয়েছেরোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত নির্যাতন ও গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারক সোমালিয়ার নাগরিক আব্দুলকায়ি আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। এরপরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে দুইজন অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি তাদের মনে করিয়ে দেন, তারা যেন নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর আদালতের রেজিস্ট্রার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে গাম্বিয়া কী কী দাবি জানিয়েছে সেটি পড়ে শোনান।

তিনি বলেন, যে বিষয়গুলোর জন্য গাম্বিয়া অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়েছে সেগুলো হচ্ছে গণহত্যা বন্ধের জন্য মিয়ানমার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে; মিলিটারি, প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি যেন কোনও ধরনের গণহত্যা সংঘটন না করে তার ব্যবস্থা গ্রহণ; মিয়ানমার গণহত্যা সংক্রান্ত কোনও ধরনের প্রমাণ নষ্ট করবে না; বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও জটিল ও খারাপ করে এমন কোনও কাজ মিয়ানমার করবে না।

এরপর গাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল আবু বকর মারি তামবেদ্যু তার বক্তব্য শুরু করেন। প্রথমে তিনি তার আইনি দলের সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দেন।

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মৌখিক শুনানির দিন ধার্য করেছেন। ওই শুনানির ওপর ভিত্তি করে কোর্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেবেন, যা চূড়ান্ত রায় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

কোর্টের সাময়িক রায় হওয়ার পর চার মাসের মধ্যে গাম্বিয়া ও মিয়ানমার উভয়কেই ওই রায় সম্পর্কে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি জানাতে হবে।