ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস: ইন্টারনেট ব্যবহারে সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের আহ্বান

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসইন্টারনেট দুনিয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়িয়ে নিরাপদ ব্যবহারের আহ্বানে দেশব্যাপী পালিত হচ্ছে তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেট শেয়ার পরে’। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।

পরে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে র‌্যালিটি বের হয়। খামারবাড়ি হয়ে আবার তা দক্ষিণ প্লাজায় এসে শেষ হয়।

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস দিবসটি উপলক্ষে বেলা ৩টায় বসুন্ধরার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কমাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।

দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের সব জেলা, উপজেলায় র‌্যালি, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, অনলাইন প্লাটফর্মে আমার দেখা ডিজিটাল বাংলাদেশের ওপর প্রেজেন্টেশন তৈরির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নির্বাচনি ইশতেহারে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১২ ডিসেম্বর ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ পালিত হচ্ছে।