তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার বিকল্প নেই: স্পিকার

ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস১দেশের উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ও ফলপ্রসু ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথচলা স্বল্প সময়ের হলেও আমাদের অর্জন ও সফলতা অনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বের নিকট উন্নয়ন বিস্ময়। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হওয়ার বিকল্প নেই।



বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, যেকোনও কিছু ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কোনও লেখা বা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিবেশনের কারণে কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা অস্থিতিশীলতা যেন সৃষ্টি না হয়, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।

আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এমন আয়োজন টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। আজকের প্রতিপাদ্য ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে আধুনিকায়ন, সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ফোনের যুগান্তকারী ব্যবহার, আইটি পণ্য উৎপাদন ও রফতানি, জাতীয় শিক্ষাক্রমে আইসিটি শিক্ষা সংযোজন, আইসিটি প্রশিক্ষণসহ ব্যাপক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আজ বাংলাদেশ মহাকাশে সফলভাবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে সক্ষম হয়েছে, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, শ্রমশক্তির জন্য সুযোগ তৈরি ও কর্মসংস্থান তৈরিতে আইসিটি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তিনির্ভর শ্রমশক্তি তৈরিতে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণশক্তিকে কাজে লাগানোর কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চিতে নাগরিকদের কাছে সব রকম সুবিধা পৌঁছে দিতে কেবল শহরে নয়, গ্রামেও সুবিধা পৌঁছে গেছে। পাঁচ হাজারের বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে মানুষ তথ্য প্রযুক্তির সেবা পাচ্ছে।

স্পিকার বলেন, ‘এটুআই’ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস প্রোভাইডিং কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন লার্নিং ও নারী সমাজকে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ‘সি-লার্নিং’ প্রকল্পটি প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে। সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং সার্ভিস প্রোভাইডিংয়ের মাধ্যমে আগামীতে পাঁচ বিলিয়ন আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের সাথে যৌথভাবে প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। সংসদের কার্যক্রমকে আধুনিকায়ন করার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সদস্যগণ, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।