বর্জ্যবাহী ১৫০টি গাড়ি দিলো জাপান

চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য বর্জ্যবাহী ১৫০টি গাড়ি দিয়েছে জাপান। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে গাড়িগুলোর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাপানের সাহায্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শহরে দুই সিটি করপোরেশন এলাকা মিলিয়ে ২০১৪ সালে যেখানে প্রতিদিন ৫১০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হতো, সেখানে ২০১৯ সালে এসে প্রতিদিন ৬০০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হচ্ছে। চট্টগ্রামে ২০১৪ সালে প্রতিদিন ১৬০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হতো, যা ২০১৯ সালে ২০০০ টনে দাঁড়িয়েছে। বর্জ্যবাহী নতুন গাড়িগুলো পাওয়ায় ঢাকাতে ৬৫-৮০% এবং চট্টগ্রামে ৭৫-৮৫% বর্জ্য সংগ্রহের সক্ষমতা বাড়বে।’

চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান সরকার ৭৭ কোটি টাকা মঞ্জুরি সহায়তার অধীনে তিন সিটি করপোরেশনকে ১৫০টি বর্জ্যবাহী গাড়ি দিয়েছে। এই গাড়িগুলোর জন্য তিন সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা আরও বাড়বে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নোয়াকি ইতো স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন। পরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চাবিগুলো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে ৫৬টি করে এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে ৩৮টি গাড়ি দেওয়া হয়েছে।

জাপানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশ রক্ষায় জাপান ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। গত ১০ বছরে তারা বর্জ্য পরিবহনের জন্য ১১২টি গাড়ি দিয়েছে।

স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাইকার বাংলাদেশ অফিসের সিনিয়র রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশোহিরা কাওয়াতিসহ জাপান দূতাবাস ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।