সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে জাতীয় প্যারেন্ড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। এর কিছুক্ষণ আগে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আসেন প্রধানমন্ত্রী।
প্যারেড গ্রাউন্ডে এসেই অভিবাদন মঞ্চে যান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিভিআইপি গ্যালারিতে নিজের আসন গ্রহণ করেন।
এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানিয়ে গার্ড অব অনার করা হয়।
এরপর খোলা জিপে প্যারেড পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্যারেড পরিদর্শন শেষে রাষ্ট্রপতি পুনরায় অভিবাদন মঞ্চে অবস্থান করলে শুরু হয় মহান বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ।
অভিবাদন মঞ্চ থেকে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
কুচকাওয়াজের আকর্ষণীয় অংশ বিমানবাহিনীর প্রদর্শনী। দেখানো হয় বিমানের স্লো স্পিড হ্যান্ডেলিং থেকে শুরু করে ৩০ বা ৭০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুকে চিহ্নিত করে কীভাবে কোনও বিমান আক্রমণ করে।
এদিকে প্যারেড উপলক্ষে গ্রাউন্ড এলাকা সাজানো হয়েছিল লাল সবুজে। বিলবোর্ড ফেস্টুন সাজানো হয়েছে লাল সবুজে। তবে মাঠে লাল-সবুজের সজ্জা অন্যরকম আবহ তৈরি করেছিল। অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকাবাহী দল সম্মুখ দিয়ে যাওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পদাতিক কুচকাওয়াজের পর শুরু হয় বিভিন্ন যান্ত্রিক বহর প্রদর্শনী। কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী যান্ত্রিক বহরে সমরাস্ত্রের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর।