আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে পদোন্নতি, শুভেচ্ছায় সিক্ত তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানানো হয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকেআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে তার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, মন্ত্রীর সংসদীয় আসনের বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, স্থানীয় জনগণ, তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ড. হাছান মাহমুদ ও আ. ফ. ম. বাহাউদ্দিন নাছিম। ড. হাছান গত কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এর আগে দলের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এবং ছাত্রজীবনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক দলের দলনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায়, ড. হাছান মাহমুদ ১৯৭৭ সালে প্রথমে চট্টগ্রাম শহরের জামালখান ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৭৮ সালে সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে সরকারি হাজী মুহসীন কলেজে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

ড. হাছান ১৯৯২ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার কার্যকরী সংসদের সদস্য মনোনীত হন। ১৯৯২ সালে তিনি উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে যান। সেখানে ১৯৯৩ সালে ব্রাসেলস-এর বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন।

ব্রাসেলসের ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ১৯৯৪ সালে তিনি ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব দ্য ইউনিভার্সিটি’র সভাপতি নির্বাচিত হন, যা ৬০টি দেশের ১৫০০ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধিত্ব করে।

ড. হাছান ১৯৯৩ সালে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ১৯৯৫ সাল থেকে মার্চ ২০০০ পর্যন্ত বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির বিশেষ সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হন ড. হাছান মাহমুদ। ২০০৭ সালে যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন দলীয় সভাপতির মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন তিনি।

২০০৮ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও পরবর্তীতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড বাস্তবায়ন হওয়া সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. হাছান মাহমুদ। ২০০৯-২০১৩ সময়কালে তিনি সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের আগে ড. হাছান মাহমুদ একই সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।