শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আমরা কাজ শুরু করি। কিন্তু, আজ প্রচুর শীতের কারণে দেড়ঘণ্টা দেরিতে কাজ শুরু হয়েছে। এই শীতে কোদাল হাতে ধরলেও ব্যথা লাগে। কিন্তু, আমাদের কাজ কইরে খেতে হবে, তাই কাজ করছি।’
আরেক শ্রমিক রফিক বলেন, ‘রোডের কাজ খুব কষ্টের। রাস্তায় চলা গাড়ির সৃষ্ট ঠান্ডা বাতাস সুইটারেও (সোয়েটার) মানে না। শইলে (শরীর) কাঁপুনি দেয়। আইজ (শুক্রবার) অনেক শীত পড়ছে। এত শীতে কাম (কাজ) করন যায় না।’
এদিকে, প্রচন্ড শীত আর কুয়াশা থাকলেও ভোর ৬টা থেকে সড়কে দায়িত্ব পালনে করছিল ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। কেউ কানটুপি ও মাপলার পেঁচিয়ে, কেউ হাতমোজা পরে সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন। শাকসবজির পসরা সাজিয়ে কাঁচাবাজারগুলোতে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে সবজি বিক্রেতাদের। তবে শীতের তীব্রতার কারণে ক্রেতার আনাগোনা কম ছিল।
উত্তরা আজমপুরের বিডিআর মার্কেটের কাঁচা সবজি বিক্রেতা সৌমির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ কয়েকদিন যাবৎ সবজি বিক্রি কম হচ্ছে। আগের মতো বিক্রি নেই। এর মূল কারণ শৈত্যপ্রবাহ।’
এদিকে, সড়কে বেশিরভাগ যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সড়কে মোটরসাইকেলের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে।
রেডিসন হোটেলের পাশে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট অপু সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শীত যতই হোক, সড়কে আমাদের থাকতেই হবে। কষ্ট হলেও এটাই আমাদের ডিউটি। যত কিছুই হোক আমরা সড়ক নিরাপদ রাখতে কাজ করছি।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হবে থেমে থেমে, কোথাও হালকা কোথাও ভারী। আগামীকাল শনিবারও (২৮ ডিসেম্বর) একই অবস্থা থাকবে। শনিবার ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে।