বাতিঘর মাশুল না দিলে জাহাজ আটকে দেওয়া যাবে: সংসদে বিল

বুধবার জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ তোলা হয়েছে। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বিলটি তুললে তা ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ১৯২৭ সালের ‘দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট’ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, বাতিঘর মাশুল পরিশোধ না করে কোনও জাহাজ নৌপথে চলাচল করলে তা আটকে রাখা হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, কোনও বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন অথবা নৌবাহিনী অথবা কোস্টগার্ডের জাহাজ, যা কোনও ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্যে মালামাল অথবা যাত্রী পরিবহন করে না, এমন জাহাজ বাতিঘর মাশুলের আওতার বাইরে থাকবে। ১০ টনের নিচে এবং সরকার ঘোষিত যেকোনও শ্রেণির জাহাজ বাতিঘর মাশুলের আওতার বাইরে থাকবে।

কোনও জাহাজ অতিরিক্ত মাশুল দিলে ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করলে তা ফেরত পাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ৩টি বাতিঘর বিদ্যমান। আরও ৪টি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। বাতিরঘরগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যমান আইনটি আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে বিলটি তোলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।