স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন-উত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে সারাদেশে নানা ক্ষোভ, আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। দেশে উৎপাদিত হয় বছরে ২৩ থেকে ২৪ লাখ টন। বাকি পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত মৌসুমে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় অনেক পেঁয়াজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যায়। আবার হঠাৎ করে ভারত রফতানি বন্ধ করে দেয়। ফলে বিরাট ঘাটতি হয়। দেশের যেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি হয়, সেসব এলাকায় মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এই বছর টার্গেটের চেয়ে বেশি এলাকায় পেঁয়াজ রোপণ হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছর ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন করা হবে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে পেঁয়াজ নিয়ে সামনের বছর সমস্যা হবে না।’
জাসদের শিরিন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত ইতোমধ্যেই পেঁয়াজ রফতানির ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। কাজেই পেঁয়াজের মূল্য কমবে। এর মূল্য ১১০ টাকা কেজি থাকবে না।’
সবজির মূল্য তুলনামূলকভাবে এবার বেশি উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় উভয় সংকটে আছে। একদিকে আবাদে খরচ বেশি, মূল্য কম হলে বলা হয়, কৃষকেরা মূল্য পাচ্ছেন না। আবার অস্বাভাবিক মূল্যও গ্রহণযোগ্য নয়। মূল্য বেশি হলে গরিব মানুষের সমস্যা হয়। মূল্য কমে গেলে কৃষকেরা সমস্যা পেড়েন।’ মূল্য সহনশীল পর্যায়ে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।