চীনের সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে আগ্রহীদের ফেরত আনা হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী






চীনে অবস্থানকারী শিক্ষার্থী ও পরিবারগুলোর সদস্যদের বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, চীনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। এদের মধ্যে যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন এবং ফেরত আসতে আগ্রহী এমন ৩৬১ জনকে ফেরত আনা হচ্ছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন তাদের কেউ করোনা আক্রান্ত নন। আশা করি আমাদের কোনও নাগরিক আক্রান্ত হবেন না। যাদের ফেরত আনা হবে তাদের যথাযথ মনিটরিং এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীন থেকে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা এবং তাদের চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ বিষয়ে জানাতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, চীনে যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকার আন্তরিক। তাদের নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দ্রুততম সময়ে ফেরত আনার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।

ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, উহান প্রদেশ থেকে ৩৬১ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা হবে। ফেরত আসাদের মধ্যে ১৯টি পরিবার, ১৮ জন শিশু ও দুই বছরের নিচে আরও দুই শিশু রয়েছে। বাংলাদেশে বিমানের বিশেষ একটি ফ্লাইট তাদের নিয়ে আসা হবে। আনুমানিক বিকাল ৫টার দিকে ফ্লাইটটি রওনা হবে। রাত ২টার মধ্যে তাদের বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীস্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে আনার পর ফেরত আসা নাগরিকদের প্রথমে বিমানবন্দর আশকোনা হজক্যাম্পে নেওয়া হবে। সেখানে ১৪ দিন তাদের কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। এসময় তারা স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। এরমধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এক্ষেত্রে সিএমএইচ অথবা কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।

ফেরত আসাদের চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা মোকবিলায় আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক এবং সাপোর্ট স্টাফরা প্রস্তুত। যারা ফেরত আসবেন তাদের ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরমধ্যে কেউ আক্রান্ত হলে তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা উহানের বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে যাবেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিমানে বাংলাদেশি দুইজন চিকিৎসকও থাকবেন। ফেরত আনতে যাওয়া ব্যক্তিরা আসার পর তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আসল অবস্থা জানা যাবে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রয়েছেন।

এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।