‘জয় বাংলা’ বাধ্যতামূলক করতে সংসদে প্রস্তাব আনার আহ্বান ডেপুটি স্পিকারের

জাতীয় সংসদ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)সবাইকে ‘জয় বাংলা’ বলা বাধ্যতামূলক করতে সংসদে প্রস্তাব আনার আহ্বান জানিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনার জের ধরে তিনি সংসদ সদস্যদের এমন প্রস্তাব আনার আহ্বান জানান।



এর আগে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ আব্দুল মতিন খসরু অনেকের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে জড়তার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, সরকারি অনেক কর্মকর্তা ‘জয় বাংলা’ বলতে জড়তায় ভোগেন।
আব্দুল মতিনের বক্তব্য শেষে স্পিকারের আসনে থাকা ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে যুদ্ধে নেমেছি। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে যুদ্ধ জয় করে আমরা দেশে ফিরেছি। সুতরাং কে বললো আর কে বললো না, তাতে কিছু যায় আসে না। তবে শ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যদের কাছে আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিনয়ের সঙ্গে আবেদন রাখতে চাই, এই পার্লামেন্টে একটা সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হোক, সবাইকে ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে।
আব্দুল মতিন খসরু তার বক্তব্যের একপর্যায়ে ‘ম্যাডাম স্পিকার’ সম্বোধন করেন। এ সময় স্পিকারের আসনে ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি কিছুটা ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘আই অ্যাম নট ম্যাডাম স্পিকার’। আব্দুল মতিন তার এ সম্বোধনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘আই অ্যাম রিয়েলি সরি, ইউ ক্যান নট স্পিক ইন দিস ওয়ে।’
আব্দুল মতিন খসরু তার বক্তব্যে বলেন, বুয়েটে একজন মেধাবী ছাত্রকে হত্যাকারীরা হত্যা করলো। তাকে পানি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ ঘটনা লজ্জাজনক। প্রতিনিয়ত নারীর প্রতি নৃশংসতা হচ্ছে। এসব প্রতিরোধের উপায় বের করতে হবে। তিনি সাক্ষ্য আইন সংশোধন করে ঘটনার ভিডিওকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণের বিধান যুক্ত করার দাবি জানান।
ধর্ষকের যৌনক্ষমতা হ্রাস করানোর দাবি
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের শাস্তির জন্য ইনজেকশন পদ্ধতি চালু করা দরকার। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট একটা পদ্ধতি চালু করেছেন, ধর্ষক ধরা পড়লে তাকে ইনজেকশন দিয়ে যৌনক্ষমতা হ্রাস করে দেওয়া হয়। এখানেও ইনজেকশন দিয়ে যৌনশক্তি হ্রাস করে দিতে হবে। তাহলে আর ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটবে না বলে মনে করেন তিনি।
জুনে ঢাকা–শিলিগুড়ি ট্রেন
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, সড়কপথের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে রেলপথের উন্নয়নে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বরিশাল, খুলনা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ উন্নয়নে কাজ চলছে। ভারতের সঙ্গে রেলপথ যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী জুনে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হবে।