বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের মার্কেটে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জানি তৈরি পোশাক শিল্পের বড় অংশের কাঁচামাল চীন থেকে আসে। এই সাপ্লাই চেনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে আমি মনে করি।’
চীনের যে প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য সেটির কোনও পরিবর্তন আনা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চীন থেকে যে তথ্য পেয়েছি, যে শ্রমিকরা আবার কাজে ফেরত যাচ্ছেন।’
বাণিজ্যে কিছুটা শ্লতগতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘এর দুটি কারণ আছে। একটি হচ্ছে চীনের নববর্ষ, যে সময়ে চীনারা কেউ কাজ করেন না। এর সঙ্গে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে ছুটি কিছুটা দীর্ঘায়িত হয়েছে।’
তবে উৎপাদন ও বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে উঠবে আশা প্রকাশ করে তিনি জানান, চীনের প্রধান শিল্পনগরীতে আবার কাজ শুরু হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার হয়তো কোনও পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এবং সেটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি জীববিজ্ঞানি নই, তবে আমি মনে করি পণ্যে কোনও ভাইরাস থাকে না। মানুষ ভাইরাস বহন করে। তাই আমি মনে করি যেকোনও ধরনের নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে, কোনও ধরনের ভীতি থেকে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, তারা বিচক্ষণতার সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করছে। অন্য অনেক দেশ যেমন করেছে, বাংলাদেশ সেরকম কিছু করেনি।’ তবে সেরকম কিছু হলে মেগা প্রকল্পে এর প্রভাব পড়তো বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।