রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছুই হচ্ছে না। এ বিষয়ে সবকিছুই ওপেন সিক্রেট। কোনোটাই সিক্রেসির মধ্যে নেই।
তিনি বলেন, আন্দোলনের কথা তারা (বিএনপি) বারবার বলে আসছে। এ বিষয়ে তাদের মধ্যে একটা দ্বিচারিতা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাদের কেউ বলে মানবিক, কেউ বলে আন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে আগে ঠিক করতে হবে তারা কোন পথে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলাটি কোনও রাজনৈতিক মামলা নয়। তাকে তো বিনাবিচারে ডিটেনশনে দেওয়া হয়নি যে সরকার মানবিক কারণে বিষয়টা দেখতে পারে। এখানে বিষয়টি একেবারেই রাজনৈতিক নয়, এটা দুর্নীতির মামলা। এটা সরকারের বিবেচনার আওতায় আসে না।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা একটা পরিবর্তন এনেছি। প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কুয়েতে মানবপাচারে যুক্ত সাংসদ কাজী শহিদ ইসলামের বিষয়টি দুদককে তদন্ত করতে বলা হবে।’
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সচেতনতা-সতর্কতা দুর্ঘটনা এড়ানোর সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা। চালকের সঙ্গে যাত্রীরাও বেপরোয়া, পথচারীরাও বেপরোয়া। আমাদের সচেতনতার খুব বেশি অভাব। রাস্তা পারাপারের সময় অনেকেই নিয়ম মানি না। অনেকেই ফুটওভার ব্রিজ বাদ দিয়ে রাস্তা দিয়ে পার হন, ট্রাফিক সিগন্যাল মানেন না। অনেকে আবার মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তার এপাশ থেকে ওপাশ যান। যেন কেউ কোনও নিয়মের ধার ধারেন না। এ বিষয়ে সচেতন না হওয়াটাই মূল সমস্যা বলে মন্তব্য করেন তিনি।