মার্চ-এপ্রিলের ছয় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদেশি অতিথিরা

মুজিব বর্ষমুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাবছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে সরকার। এর মধ্যে আগামী মার্চ ও এপ্রিলে অন্তত ছয়টি অনুষ্ঠান চূড়ান্ত করা হয়েছে, যেখানে বিদেশি অতিথিরা যোগ দেবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা।
মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘মার্চের ১৭, ১৯, ২২, ২৩ এবং ২৬ তারিখ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া এপ্রিলের ১২-১৩ এবং ১৭ তারিখ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে। এর প্রতিটি অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিরা অংশগ্রহণ করবেন।’
এসব তারিখে কী কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৭ মার্চ প্রধান অনুষ্ঠান দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষের শুরু হবে। এই অনুষ্ঠানে দুই ধরনের বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
তিনি জানান, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ওয়াংচুক, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইসলামি সহযোগী সংস্থা—ওআইসির মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ বিন আবদুল রহমান আল ওথাইমিনসহ অন্য অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া আরও ৫০ জন বিদেশি অতিথি শুধু অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির ওই সদস্য আরও জানান, জাতীয় সংসদ মার্চে দুটি অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এর মধ্যে ১৯ মার্চের অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের সাবেক মহাসচিব ইরিনা বুকোভাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং ২২ ও ২৩ মার্চের বিশেষ সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার জন্য ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি রাজি হয়েছেন। এছাড়া ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও কয়েকজন বিদেশি অতিথি আসবেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘এপ্রিলের ১২ ও ১৩ তারিখে ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বলখিয়া বাংলাদেশ সফরে আসবেন এবং তার ওই সফরের সময় মুজিববর্ষের একটি অনুষ্ঠান থাকবে। ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব হবে এবং আমরা চেষ্টা করছি সুলতানকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় রাখার জন্য।’
১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস এবং এ উপলক্ষে মুজিববর্ষের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান যে শুধু বাংলাদেশে হবে তা নয়, বরং পৃথিবীর যেখানে সম্ভব সেখানেই এই অনুষ্ঠান করার জন্য সবাইকে বলা আছে।’
বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মোট ৭৭টি মিশন আছে এবং প্রত্যেক জায়গায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান তিনি।