মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আসছেন যেসব বিদেশি

 

আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক হুন সেন ও ইউনেস্কোর সাবেক মহাসচিব ইরিনা বোকোভা। এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীর জুসেপ্পে কোন্তের উপস্থিতির বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এদিকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে যোগ দিতে আগামী ২২ মার্চ বাংলাদেশে আসবেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার কথা রয়েছে ভারতের কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং ভুটানের রাজা উপস্থিত থাকবেন বলে কমিটি আমাদের জানিয়েছে। তিনি জানান, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান হবে বছরজুড়ে। এজন্য আমরা একসঙ্গে সব বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না। বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা আসবেন।

করোনা ভাইরাসের বিষয় বৈঠকে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের বিষয় তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের, এটা নিয়ে আলোচনার বিশেষ কিছু ছিল না। তবে চীনে আটকে পড়া ১৭১ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলাম। মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফারুক খান জানান, রূপা হকসহ বিভিন্ন দেশের কয়েকজন এমপি বাংলাদেশ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তাদের মন্তব্যের পেছনে কোনও ইন্ধনদাতা ও ষড়যন্ত্রকারী আছে কিনা, তাদের খুঁজে বের করা দরকার বলে কমিটি মনে করে। কমিটি তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাতে বলেছে।

বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। ফারুক খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, গোলাম ফারুক প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান, হাবিবে মিল্লাত, নাহিম রাজ্জাক, কাজী নাবিল আহমেদ ও নিজাম উদ্দিন জলিল।