‌‌‌‘খাল দখল ও মশক নিধনে শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না’

জনগণের দরজায় সেবা পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মশক নিধন এবং খাল দখল বা দূষণরোধে কোনও রকম শৈথিল্য বা দায়িত্বহীনতা বরদাশত করা হবে না। খাল পরিষ্কার করার পর খননের জন্য ওয়াসাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে একদিনও সময়ক্ষেপণ মেনে নেবো না।’

বুধবার (৪ মার্চ) মিরপুরের রূপনগর এলাকায় আধুনিক যন্ত্রপাতি রোড সুইফার এবং জেট অ্যান্ড সাকার মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে রোড সুইপিং এবং ড্রেন পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি রূপনগর খাল পরিদর্শন এবং বিশেষ মশক নিধন কর্মসূচি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

মন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি মশা বেড়ে যাওয়ায় তা নিধনে আমরা গুরুত্বসহকারে কাজ করছি। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদেরকে স্ব স্ব ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। মশক নিধনের জন্য পর্যাপ্ত কীটনাশক মজুত আছে। পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ও লোকবলও দেওয়া হয়েছে। মশক নিধনে সিটি করপোরেশনকে সবধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কার্যক্রম ফলোআপ করছি। আমরা জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

এসময় নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী রূপনগর খাল পরিষ্কার করার পরে পুনঃখননের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর ফলে এ এলাকায় মশার উপদ্রব কমে যাবে। এছাড়া বর্ষায় পানি ওঠাও বন্ধ হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে মশক নিধন কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।