নিজেদের স্বার্থেই বনজ সম্পদ রক্ষা করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক বন দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, গাছ থেকে জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের সুফল পাওয়ার পরও প্রতি বছর পৃথিবীতে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর বন ধ্বংস হচ্ছে। ফলে প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সময় এসেছে নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই প্রকৃতির সবুজ বন-বনানী রক্ষায় একযোগে কাজ করার। এ লক্ষ্যে গ্রামীণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ বৃদ্ধিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আজ শনিবার (২১ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ের বন অধিদফতরে ‘বন ও জীববৈচিত্র্য মূল্যবান অতি, হারালে অপূরণীয় ক্ষতি’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২০ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান, এনডিসি এবং অতিরিক্ত সচিব ড. মো. বিল্লাল হোসেন ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বনমন্ত্রী বলেন, বন সেক্টরের প্রধান লক্ষ্য বনভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনা এর ভিত্তিতে ‘ফরেস্ট ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান' তৈরি। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে ৪৮টি এলাকাকে ‘‘রক্ষিত এলাকা” ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বন রক্ষায় বন অধিদফতরের সব কর্মকর্তা কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী সামাজিক বনায়নের সাত জন উপকারভোগীর মাঝে বিশ লাখ টাকার চেক বিতরণ করেন।