কামরাঙ্গীরচরে দোকানপাট বন্ধ রাখতে মাইকিং

দোকান বন্ধের গণবিজ্ঞপ্তিকরোনা প্রতিরোধে কামরাঙ্গীরচরে দোকানপাট বন্ধ করতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সাইদুল ইসলাম মাদবরের কার্যালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়। বিষয়টি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটি ও ছোট-বড় সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধের দোকান, ব্যাংক-এটিএম বুথ, ফলের দোকান, মুদি দোকান, কাঁচা বাজার যেমন−শাকসবজি, মাছ-মাংসের দোকান, স্টেশনারি, হার্ডওয়্যার, মোবাইল ও ফ্লেক্সি লোডের দোকান এবং শুধু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানপাট স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে।

যদি কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্সিলরের পাশাপাশি কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মশিউর রহমানের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী সাইদুল ইসলাম মাদবর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা রেস্টুরেন্ট, হোটেল, চায়ের দোকান, বেকারি, কনফেকশনারি, ফুচকা-চটপটি ও ছোট-বড় সব ধরনের খাবারের দোকান বন্ধ রাখতে বলেছি। এলাকায় মাইকিং করতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যিনি মাইকিং করছেন তিনি বিজ্ঞপ্তিটি পড়ে সবাইকে জানিয়ে দিচ্ছেন। আমরা বলে দিয়েছি জরুরি দোকানগুলো ছাড়া আর কোনও দোকান  খোলা থাকবে না। থানা থেকেও আমাদের বিষয়টা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওইসব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছি।