করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ই-নথি ব্যবহারের পরামর্শ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যথাসম্ভব ই-নথি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে নিজেদের দফতর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। অফিসের ফাইল, কাগজপত্র স্পর্শ করার পর হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৫ মার্চ জারি করা মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।





মন্ত্রণালয় ছাড়াও সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর, কারা অধিদফতর ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য বলা হয় চিঠিতে।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন শাখার উপসচিব আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রতিদিন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে তাকে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে হবে এবং কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিতে হবে। যেকোনও জ্বর সর্দি-কাশিকে বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও এর অধীন দফতর ও সংস্থার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ও প্রতিরোধমূলক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাহিদা অনুযায়ী হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস, সাবান, টিস্যু পেপার ও বাথরুম ক্লিনার সরবরাহ করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) নির্দেশনা পালন করতে হবে । দর্শনার্থী সীমিত রাখা এবং তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অফিসের ভেতরে এক শাখা থেকে অন্য শাখায় অপ্রয়োজনীয় যাতায়াত এবং আলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে। অফিসে প্রবেশ করে হ্যান্ডওয়াশ ও সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে সরবরাহ করা প্যাকেটের নাস্তা ও খাবার পরিহার করতে হবে।
এছাড়া লকডাউন এলাকায় বসবাসকারী কোনও কোয়ারেন্টিনে কেউ থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাকে অবহিত করে অফিসে আসা থেকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়।