বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় কারা কর্তৃপক্ষ

গ্রেফতার ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদজাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সেই ফাইল কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন কারা বিধি ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। ওইদিন বিকালেই তার মৃত্যু পরোয়ানার ফাইল কারাগারে পৌঁছানো হয়। সন্ধ্যায় মাজেদ কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাতেই সেই ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদনটি পাঠানো হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিলে ফাইলটি পুনরায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে সেই ফাইল পৌঁছানোর কথা।

মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে কর্নেল আবরার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাজেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। এখন সরকার যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই কারা কর্তৃপক্ষ কাজ করবে। পুরো বিষয়টি এখন সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ ২৫ বছর ধরে ভারতে পালিয়ে ছিলেন বলে জানায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তারা জানায়, করোনাভাইরাস আতঙ্কে সেখান থেকে গত ২৬ মার্চ ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। দেশে ফেরার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এরপর তাকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন:

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি মোহাম্মদ নাসিমের

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদ গ্রেফতার

২৫ বছর ভারতে পালিয়ে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদ কারাগারে

বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদের রায় কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু: আইনমন্ত্রী