বাস্তুহারাদের জনসভা
পূর্তমন্ত্রী মতিউর রহমান বলেন, ‘শহর নয় উন্নয়ন করা হবে গ্রামগুলোতে। যাতে ছিন্নমূল মানুষেরা আবারও গ্রামে ফিরে গিয়ে চাষাবাদ করে, সুখে-শান্তিতে বাস করতে পারে।’ বাস্তুহারা সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারী-পুরুষ মিছিল করে এসে সভায় যোগ দেন। মন্ত্রী অভিযোগ করেন যে, এক শ্রেণির লোক নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। তারা সমাজতন্ত্রের কর্মসূচি নস্যাৎ করতে চায়। রাতারাতি লাখ লাখ টাকা মুনাফা লুটে তারা। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে এই হাতগুলোই সক্রিয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিছু কিছু সরকারি কর্মচারীর কার্যকলাপেরও তীব্র নিন্দা করেন পূর্তমন্ত্রী।
আবারও টর্নেডো
ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জে দুটি গ্রামের ওপর গতকাল ২৯ এপ্রিল টর্নেডো আঘাত হানার খবর প্রকাশিত হয়। এতে কমপক্ষে ১৫০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়। ঝড়ের সংবাদ পাওয়ার পর পরই স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাসহ একটি চিকিৎসক দল ঘটনাস্থলে ছুটে যান বলে বাসস জানায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মে মাসের শেষ দিকে অথবা জুনের প্রথম দিকে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে মিলিত হবেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশেষ দূত পর্যায়ে বৈঠক শেষে নয়াদিল্লি হতে প্রকাশিত যুক্ত বিবৃতিতে একথা বলা হয়। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আসন্ন বৈঠকের আলোচ্য বিষয় উল্লেখ করে যুক্ত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈঠকের পারস্পারিক সুবিধাজনক তারিখ যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।
শাসনতন্ত্রে শ্রমিক ও কৃষকের দাবির স্বীকৃতি চান বাংলাদেশ কৃষক সমিতির প্রধান মওলানা ভাসানী। দেশের ভাবি শাসনতন্ত্রে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের আসন সংরক্ষণের দাবি করেন তিনি। ৩০ এপ্রিল নরসিংদীর শিবপুরে অনুষ্ঠিত কৃষক সম্মেলনে ভাসানী বলেন, ‘এদেশ কৃষক-শ্রমিকের দেশ। দেশের জনসংখ্যার শতকরা ৯৫ জন কৃষক-শ্রমিক।’ শাসনতন্ত্রের রূপরেখা বর্ণনা করে মওলানা ভাসানী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে যে শাসনতন্ত্র দিতে যাচ্ছে, তাতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকের ভোটাধিকার দিতে হবে। চোরাকারবারি, লুটপাটকারী, অত্যাচারী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে শত্রুবাহিনীকে সহায়তাকারীদের ভোটের অধিকার থাকবে না।’ তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিশন গঠন করে উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। এছাড়া, ক্ষতি পূরণে বৃহৎ শিল্প, কুটির শিল্প ও জমি জাতীয়করণের আইন বিধিবদ্ধ থাকতে হবে। বিদেশি পুঁজি বাজেয়াপ্ত এবং সামন্তবাদ চিরতরে নির্মূল করার ব্যবস্থা থাকতে হবে শাসনতন্ত্রে, বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন ভাসানী।