প্রণোদনায় অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা: শিল্প প্রতিমন্ত্রী

ত্রাণ বিরতণ করেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারশিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেছেন, ‘করোনার কারণে পৃথিবীর সব দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। করোনাপরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির সব খাতকে সক্রিয় ও গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রায় এক লাখ কোটি টাকার প্রণোদনার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সরকারের প্রণোদনায় কোনও অনিয়ম হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ত্রাণ বিতরণে যেখানেই অনিয়ম হচ্ছে, সেখানেই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে।’

বুধবার (৬ মে) ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে অবস্থিত রোটারি উচ্চ বিদ্যালয়ে খাদ্য ও স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণকালে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকার সবার জন্য খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার দুর্যোগে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছেও খাদ্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের নিবিড় তত্ত্বাবধানের ফলে হাওরাঞ্চলের বোরো ধানকাটা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে দেশে ধানসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ আছে।’

করোনা পরিস্থিতিতে আয়-রোজগারহীন মানুষদের জন্য শিল্প প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে মিরপুরে চলমান ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ ১৪ সম্বর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ২০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই কেজি আলু, একটি সাবান ও একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়।

পরে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা  উপকরণ স্টাফ কোয়ার্টারবাসীদের কাছে পৌঁছে দেন। প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ইসমাইল হোসেন, কাফরুল থানা শ্রমিক লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।