ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজ আমাদের হাসপাতালের ডাক্তার অধ্যাপক ও গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল এবং গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ খন্দকার বিএসএমএমইউ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মুনশি ও কিট পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমের কাছে কিট পৌঁছে দিয়েছেন। প্রথম দফায় তাদের চাহিদা অনুযায়ী ২০০ কিট পরীক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে। পরে আরও দেওয়া হবে।’
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যাবে বলেও আশা প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আশা করছি আজ থেকে বিএসএমএমইউ পরীক্ষার কাজটি শুরু করবে। করোনাভাইরাস আমার একার নয়, এটা জাতীয় সমস্যা। আমাদের সক্ষমতার সবটুকু দিয়ে তা মোকাবিলা করতে হবে। ব্যাপক হারে পরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের কিট দেশের মানুষের মনে আশার সঞ্চার করবে বলে আমি মনে করি।‘
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১২ মে) বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। সেখাসে কিটের পরীক্ষার খরচ বাবদ চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও পরীক্ষার জন্য ২০০ কিট জমা দিতে বলা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী আজ ব্যাংকে টাকা জমা এবং হাসপাতালে কিট জমা দিয়েছে গণস্বাস্থ্য।
গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের পর ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআর,বিতে এই কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমিত দেওয়া হয়। এরপর গত ২ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শাহীনা তাবাসসুমকে প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ এই কিট তৈরি করেন।
আরও পড়ুন-
অনুমতি মিলেছে, ট্রায়ালে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্যের কিট
ব্যবসায়িক স্বার্থে গণস্বাস্থ্যের কিট ওষুধ প্রশাসন জমা নেয়নি, অভিযোগ ডা. জাফরুল্লাহর
গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষা নিয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের ব্যাখ্যা
গণস্বাস্থ্যের করোনা টেস্টিং কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সরকারের কোনও প্রতিনিধি আসেননি