মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য আর্থিক প্রণোদনার প্রস্তাব

বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে এলাকাঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের জরুরিভিত্তিতে নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ দিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২২ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, বরিশাল ও খুলনা বিভাগ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী আম্পানের প্রভাবে মৎস্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ৩০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। যার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারের সংখ্যা ২৪ হাজার ৩৫০টি এবং ক্ষতিগ্রস্থ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামারের সংখ্যা ৫০ হাজার ১৩৮টি।

মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২১ মে) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ স্বাক্ষরিত নগদ আর্থিক সহায়তাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ দেওয়া সংক্রান্ত একটি চিঠি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে আম্পানের প্রভাবে মাছ, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক বিবরণ পাওয়া গেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতকরণে যাচাই-বাছাই চলছে।

চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির বিরূপ প্রভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগকারীরা চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে প্রাণিজ পুষ্টির জোগানদাতা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত হুমকির মুখে পড়বে। যার প্রভাব গোটা জাতির ওপর পড়বে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্র্রণালয় আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ খাতের চাষি, খামারি ও উদ্যোক্তাদের নগদ আর্থিক প্রণোদনাসহ সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে।