গত রবিবার (৩১ মে) ‘পরিকল্পিত উপায়ে বস্তি অপসারণ এবং বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিটি’ গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সভাপতি করে গঠিত এ কমিটিতে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সচিবকে সদস্য করা হয়েছে।
জাতীয় পর্যায়ে গঠিত এ কমিটির চারটি কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। তা হলো: অপসারণের আগে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতকরণ, বস্তি গড়ে ওঠা স্থানে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ বিবেচনা করে পরিকল্পিত উপায়ে বস্তি অপসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অসামাজিক কার্যক্রম বন্ধে বস্তি অপসারণের প্রয়োজনীয়তা, প্রতিক্রিয়া ও মানবিক বিষয় পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে দেওয়া যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও কমিটিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে রয়েছে সমাজকল্যাণ ও ভূমিমন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। সচিবদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেতু বিভাগের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে সচিব। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য সচিব এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রকল্প নিয়েছি। এখানে বস্তিবাসীরা ভাড়া ভিত্তিতে বসবাস করতে পারবে। এ কার্যক্রম জাতীয় পর্যায়ে করার জন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ে রাজধানীতে বসবাসরত বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন করা হবে। পর্যায়ক্রমে আমরা অন্যান্য শহরেও এ কার্যক্রম হাতে নেবো।
কমিটির সভাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন তার হাতে এখনও আসেনি। প্রজ্ঞাপন হাতে পেলে এ বিষয়ে বলতে পারবেন।