আরও দুই জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা এবং ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে অনিয়ম করায় আরও একজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত জনপ্রতিনিধি বরখাস্তের সংখ্যা ৮৭ জন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই এবং মানবিক সহায়তা কর্মসূচির হতদরিদ্রের জন্য ১০ টাকা কেজি দরে চাল আত্মসাতের অভিযোগে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিউল ইসলাম তসকিরকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদের চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৮৭ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৫২ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং ১ জন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।

আরও পড়ুন:
বিভিন্ন অভিযোগে আরও ১১ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার আরও এক কাউন্সিলর বরখাস্ত 

ত্রাণ দুর্নীতিতে সাময়িক বরখাস্ত জনপ্রতিনিধিরা কে কোন দলের