চীন থেকে চিকিৎসা সামগ্রী এনেছে বিমান বাহিনী

চীন থেকে চিকিৎসা সামগ্রী বুঝে নিচ্ছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীচীন থেকে নিজেদের আকাশযানে চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে এসেছে বিমান বাহিনী। বুধবার (৩ জুন) এই সংস্থার একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে এগুলো আনা হয়।

আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, পিপলস লিবারেশন আর্মি অব চায়নার দেওয়া বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী বুধবার রাতে দেশে এসেছে। চীন থেকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহায়ক জিনিসপত্র সংগ্রহের জন্য এদিন সকালে বিমান বাহিনীর ১৫ জন এয়ার ক্রু একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান নিয়ে চীনের উদ্দেশে ঢাকার বিমান বাহিনী ঘাঁটি ছেড়ে যায়। তাদের দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শান্তনু চৌধুরী।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব চিকিৎসা সামগ্রী আনা হয়েছে। কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানই সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের লক্ষ্য।

দেশে আনা চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ডিসপোজেবল মেডিক্যাল মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক, মেডিক্যাল সার্জিক্যাল মাস্ক (কেএন৯৫), মেডিক্যাল প্রোটেক্টিভ গগলস, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল প্রোটেক্টিভ ফেস শিল্ড, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল প্রোটেক্টিভ স্যুট, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল আইসোলেশন গাউন, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল বুট কভার, ডিসপোজেবল মেডিক্যাল গ্লাভস, ইনফিউশন পাম্প, ব্যাকপ্যাক ডিসইনফ্যাক্ট্যান্ট স্প্রেয়ার, হ্যান্ড-হেল্ড আইআর থার্মোমিটার এবং থার্মাল ইমেজিং টেম্পারেচার পরিমাপক হেলমেট।

গত ১৯ এপ্রিল বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিট, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীসহ (পিপিই) চিকিৎসা সহায়ক জিনিসপত্র চীন থেকে ঢাকায় আনা হয়।