দ্বিতীয় দিন লকডাউন এলাকা থেকে বের হওয়ার প্রবণতা কমেছে

খোলা থাকা এই একটি প্রবেশপথ দিয়ে আজ বের হওয়ার চেষ্টা কমে গেছেচিরচেনা ব্যস্ত পূর্ব রাজাবাজার এলাকা যেন থমকে গেছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিন সেখানে চলছে। চলাচল বন্ধ রয়েছে জনসাধারণের। প্রথম দিন সকালে অফিসগামী অনেকেই বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু দ্বিতীয় দিন সেই চেষ্টা কমে গেছে। শুধু সেখানে বসবাস করা সংবাদকর্মী, ডাক্তার ও নার্সরা প্রবেশ এবং বের হতে পারছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকালে ওই এলাকা ঘুরে গলিতে স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ সদস্য ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি।

বের হওয়ার প্রবণতা কমেছেএদিকে, লকডাউনের প্রথম দিনে তেজগাঁও কলেজের পাশে থাকা রাস্তাটির ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে মানুষ বের হওয়ার ছবি প্রকাশ হলে নজরে আসে প্রশাসনের। ওই রাস্তাটি এখন পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পূর্ব রাজাবাজারের এক বাসিন্দা জানান, এলাকাটির ভেতরে কোনও ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছুই ঠিকঠাক পাওয়া যাচ্ছে।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে সেখানে কর্তব্যরত শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকালের চেয়ে আজকের পরিস্থিতি অনেক ভালো। যারা গতকালকে বের হয়ে ব্যর্থ হয়েছেন, তারা আজ আর চেষ্টা করেননি। তারা ভালোভাবে বুঝে গেছেন লকডাউন কী। তবে মাঝে-মধ্যে দুএকজন এসেছেন, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যথাযথ কারণ না থাকায়।’

BT-Newএর আগে, ৯ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকেই ১৪ দিনের জন্য রেড জোন ঘোষণা করে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে পূর্ব রাজাবাজার এলাকাকে। সেখানে কঠোর অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এলাকায় কাউকেই প্রবেশ বা বের হতে দিচ্ছেন না তারা। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করতে এলাকাটির কাউন্সিলরের নির্দেশে ৪০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ রোগটি ছড়ানোর ক্ষমতা সাধারণত ১৪ দিন ধরা হয়। এ কারণে পূর্ব রাজাবাজার আপাতত ১৪ দিন লকডাউন থাকবে। তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে ২১ দিন পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থা থাকতে পারে। 

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

আরও পড়ুন:  

মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন

পূর্ব রাজাবাজার লকডাউন রাখতে নামছে সেনাবাহিনী  

পূর্ব রাজাবাজারে চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ

পূর্ব রাজাবাজারে যেভাবে মানা হবে লকডাউন