বঙ্গবন্ধুর কাছে সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের চিঠি

2১৯৭২ সালের ২৮ জুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের কাছে সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের চিঠি আসে। সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত পোপভ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে তার সরকারের নেতৃবৃন্দের একটি চিঠি দেন। রাষ্ট্রদূত পরে সাংবাদিকদের বলেন, উপমহাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাটাই চিঠির বিষয়বস্তু। সোভিয়েত রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা সময় কাটান। ১৯৭২ সালের ২৯ জুন প্রকাশিত দৈনিক পূর্বদেশের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

1
সবুজ বিপ্লব সফল করে তুলতে হবে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সবুজ বিপ্লব সফল করে তোলার জন্য কৃষি ছাত্রদেরকে উন্নয়ন পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উপদেশ দেন। বঙ্গবন্ধু কৃষি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন এবং তাদেরও পরিকল্পনায় অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন। তিন বছরের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার উদ্দেশ্যে দেশে কৃষি বিপ্লব করার কথা চিন্তা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পত্রিকার খবরে বলা হয়, বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তার ভিত্তিতে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। সেই কাজে শিক্ষার্থীদের যুক্ত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

3

এদিকে সিমলা বৈঠকের যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন পর্যন্ত নিরসন হয়নি বলে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে পূর্বদেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা পর্যায়ে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু কতগুলো জটিল বিষয়ের ব্যাপারে মতৈক্যের অভাবে আলোচনায় যেতে পারেনি। এ আলোচনায় দুই দলের নেতৃত্ব দেন ডি পি ধর এবং আজিজ আহমেদ। বৈঠকে ভারতের প্রতি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে একটি আদর্শ কাঠামো তৈরির ওপর জোর দেওয়া হয়।

প্রস্তাবিত বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধী বিনিময়ে পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ফেরত নেওয়ার একটা আভাস পাকিস্তানি সূত্র থেকে পাওয়া গেছে। একটি পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের সূত্র জানায়, পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ফেরত দেওয়ার ব্যাপারটা ভারতীয় সমতল যুদ্ধবন্দিদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। তবে এটা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য যুদ্ধাপরাধের বিচার কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

সিমলায় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর মধ্যে আলোচনার ঘটনাবলি সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত রাখা হচ্ছে বলে পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। বৈদেশিক দফতরের মুখপাত্র বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে জানান, সিমলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দৈনন্দিন ঘটনাবলি ও কার্যপ্রণালী আকারে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশন বাংলাদেশ পররাষ্ট্র দফতরকে অবহিত করে রাখা হচ্ছে।