আউশের আবাদ বেড়েছে

ধানক্ষেতচলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি (১০০.৫২%)। এ বছর আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। গতবছরের তুলনায় ২ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আউশ আবাদ বেড়েছে এবার।

২০১৯-২০ অর্থবছরে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল, উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার মেট্রিক টন। এবছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ মেট্রিক টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।

বুধবার (১ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আউশ আবাদ বাড়ানোর জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার দেওয়া হয়। আরও ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি, যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকেরা ধানচাষে আগ্রহী হয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে আমন আবাদের প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৫৯ লাখ হেক্টর ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৫৬ লাখ মেট্রিক টন চাল। আমন উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কম ফলনশীল জাতের আবাদ কমিয়ে আধুনিক/উফশি জাতের সম্প্রসারণ ও হাইব্রিড জাতের এলাকা বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে। এর সঙ্গে, মানসম্পন্ন বীজের প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ, সুষম সারের নিশ্চয়তা, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা, সেচ খরচ হ্রাসকরণসহ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আমনে উৎপাদন বাড়াতে এবারই সরকার প্রথম বীজে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিএডিসি’র ১৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আমন ধানবীজ চাষি পর্যায়ে বিক্রয়ের জন্য ২০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। বিএডিসি তাদের ঘোষিত নির্ধারিত বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কেজি প্রতি ১০ টাকা কম দামে উফশী আমন ধানবীজ ও হাইব্রিডের ক্ষেত্রে কেজি প্রতি ৫০ টাকা কম দামে চাষী পর্যায়ে বীজ বিক্রি করেছে।