যশোর ও বগুড়ার দুই আসনের উপনির্বাচন ১৪ জুলাই



নির্বাচন কমিশনযশোর-৬ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনের তারিখ ১৪ জুলাই ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৪ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কমিশন ভোট গ্রহণের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভোট গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর হোসেন। এর আগে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই দুটি আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের বিষয়ে কথা বলেছেন। যেহেতু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৮০ দিনের বেশি যাওয়ার সুযোগ নেই। যার কারণে কমিশন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি জানান, কোনও পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই দুটি আসনে ব্যালটে ভোট গ্রহণ হবে। গত ২৯ মার্চ যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ভোট গ্রহণের সপ্তাহখানেক আগে তা স্থগিত করা হয়। আসন দুটির মধ্যে বগুড়ার আসন শূন্য হয় ১৮ জানুয়ারি এবং যশোরের আসন শূন্য হয় ২১ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে আসন দুটির উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের ৯০ দিন পার হয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত সিইসির হাতে থাকা পরবর্তী ৯০ দিন পার হবে যথাক্রমে ১৫ ও ১৮ জুলাই।

সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন (উপনির্বাচন) অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে পারেন। জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিইসিকে সংবিধানের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এর আগে সিইসি জানিয়েছিলেন তার এখতিয়ারভুক্ত পরবর্তী ৯০ দিনে ভোট গ্রহণ করতে না পারলে মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উচ্চ আদালত থেকে সময় বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।

তবে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে কমিশন সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়সহ আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়েছেন। তাদের পরামর্শ মতে সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে ১৮০ দিনের বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এদিকে দুই আসনের উপনির্বাচনের সিদ্ধান্ত হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের বিষয়ে কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন। স্থায়ী সরকার পরিষদের ভোটে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা সেভাবে নেই। যার কারণে কমিশন ওই নির্বাচনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। উপযুক্ত সময় বুঝে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে।’