শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা

শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাত্রাতিরিক্ত অনলাইনে যুক্ত থাকার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণসহ তা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার (৫ জুলাই) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই পরামর্শ দেন প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘করোনাকালে বাসায় থাকুন, সুস্থ থাকুন। আতঙ্কিত হবেন না, সহানুভূতিশীল হোন।’ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত ৫টি পরামর্শ উল্লেখ করে নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে, যেমন— ঘরে ব্যায়াম করা, হাঁটা, শিশু, কিশোর-কিশোরী বা যে কেউ নৃত্য চর্চা করা। করোনাকালে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য বই পড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা, ছবি আঁকা, বাগান করা, পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়া, ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা, শিশু এবং বাড়ির প্রবীণদেরও এসব কাজে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা যেতে পারে।’

তিনি বলেন,  ‘ধূমপানসহ তামাক ও তামাকজাত পণ্য এবং সব প্রকার মাদক পরিহার করতে হবে।  করোনাকালে শিশুদের সম্মিলিত বিকাশ অব্যাহত রাখার জন্য মানসম্পন্ন বা গুনগত সময় দেওয়া, সৃষ্টিশীল কাজে নিয়োজিত করা, বর্তমানে তাদের অনলাইনে পড়ালেখার বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করা। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মাত্রাতিরিক্ত অনলাইনে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’ 

নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘সুষম পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, যেমন— বিভিন্ন ধরনের টাটকা শাক-সবজি, ফল, পূর্ণ শস্যদানা সমৃদ্ধ খাবার, বিভিন্ন প্রকার ডাল এবং সীম জাতীয় খাবার, সঙ্গে প্রাণিজ উৎসের খাবার, যেমন- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ ইত্যাদি গ্রহণ করতে হবে।’